ফেরা
লেখকঃ অশোক কুমার রায়

একবার যদি গাঁয়ে যেতে পারি
বিকিয়ে আসব
আমার শত জনমের প্রেম
প্রাণের মধুমতি , শৈশব কেটেছে যে গাঁয়
যেখানে লুটপুট করে বেড়েছে যে কৈশর
বন্ধু-বান্ধবের মিলন মেলায়
কেটেছে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা যে জীবন
বিক্রি করে দিব সব
ভাালবাসার বুকে করাঘাত মেরে
আবার ছুটে আসব
জীবিকার সন্ধানে এই মনপুরায়-
জীবনের চেয়ে বড় প্রয়োজনে আমাদের
এই ছুটে চলা,একা থাকা।

একি রহস্য,একি অভাবনীয়তা
প্রেম-ভালবাসার বিক্রির বিজ্ঞাপনইতো
দিতে ভুলে গেলাম , গিয়ে সেই গাঁয়-
অধিক ভালবাসায়-
প্রিয়তমার চোখে চেয়ে দেখি বেদনাক্ত হৃদয় আমার
নিমিষেই সিক্ত হলো অমর ভালবাসায়
আমার আত্বজ যখন পিতা পিতা বলে জড়িয়ে ধরে
তখন ঘাতক পিতা হয়ে ওঠে
রক্ত মাংশের এক জাগতিক পিতা রুপে
সাধ্যকার তখন এই ভালবাসার বিকোনোর
কে ঐ নরাধম পিতৃত্বের সাধকে করে অস্বীকার

আমি আর বিক্রি করতে পারিনি
আমার শত জনমের প্রেম-ভালবাসা
সেকারণে আবারও ফিরতে হবে
আমার আপন ঠিকানায়।

কুলকুল রবে বয়ে চলা মধুমতি
রাক্ষসী রুপে প্রতিবছর ভাঙ্গে
কত স্বপ্নের ঘর-
কত স্বপ্ন ফিকে করে গিলে খায়
আপন বাস
তবুও পড়ে থাকে সবে তার গায়
হাজার বছর ধরে রুদ্ধমূর্তি দেখে
পায়না কো কেউ ভয়।

বার বার ধোঁকা খেয়ে
তবুও ভালবেসে তাকে
রয়ে যায় তার গায়
বিকেবো কি করে এত ভালবাসা যার বুকে!

পিতা গেছে মোহে
পিতামহ,তার পিতা ,তার পিতামহ ,পৌপিতামহ
রয়েছে সকলে কি যে মহিমায়
আমিও রব ঐ ভালবাসার মোহে
বিকেতে পারব না আর
তাইতো আমি বারবার ফিরে যাব
আমার ঐ ভগ্ন গাঁয়।
লেখক -অশোক কুমার রায়।
জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার
কারিতাস বরিশাল অঞ্চল
মনপুরা-ভোলা।